ক্যাপে খোঁচা—পিএসজিকে উসকে দিলেন এমিলিয়ানো

ফ্রান্সের প্রতীক কোকরেল (মোরগ), তার পাশে আর্জেন্টিনার ব্যাজ ও আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের সবশেষ জেতা চারটি ট্রফির প্রতীক। ঠিক এমন কিছুতে আঁকা বেসবল ক্যাপ পরে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে ফ্রান্সে হাজির হয়েছেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। পিএসজি সমর্থকদের একটু খোঁচা দিতেই যেন হাজির হলেন এই আর্জেন্টাইন।

পার্ক দে প্রিন্সেসে আজ বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মুখোমুখি হবে অ্যাস্টন ভিলা। এই ম্যাচের আগে ঘরে ফিরে আসছে ২০২২ কাটার বিশ্বকাপের ফাইনালের কথা। সেই ফাইনালে পেনাল্টি শ্যুটআউটে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়ের সময় কিছু উসকানিমূলক আচরণে অনেক ফরাসি সমর্থককে রাগিয়ে দিয়েছিলেন এই গোলরক্ষক।

ম্যাচ টাই-ব্রেকারে গড়ানোর পর কিংসলি কোমানের শট ঠেকানোর পর চুয়ামিনি মিস করলে হেলেদুলে নেচে জ্বলুনি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন এমিলিয়ানো। এরপর বুয়েনস আইরেসে উদযাপনের সময় কিলিয়ান এমবাপের পুতুল হাতে নাচানাচি—সব মিলিয়ে বিতর্কে ছিলেন তিনি।

তবে অ্যাস্টন ভিলা কোচ উনাই এমেরি মনে করেন, এখনকার এমিলিয়ানো আগের চেয়ে অনেকটাই পরিণত, 'সে এখন পরিণত। দায়িত্বশীল। আগের চেয়ে অনেক বেশি আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছে। আমি আর্সেনালে থাকাকালীনও তার সঙ্গে কাজ করেছি, আর এখন ভিলাতেও করছি।'

'আজ থেকে পাঁচ বছর আগে যখন সে অ্যাস্টন ভিলায় আসে, তখনকার মার্তিনেজ আর এখনকার মার্তিনেজ এক নয়। সে এখন আরও ভালো খেলোয়াড়, আরও ভালো গোলকিপার। সে বিশ্বের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক—প্যারিসেই সে এই স্বীকৃতি পেয়েছে,' যোগ করেন এই স্প্যানিশ কোচ।

এমেরি আরও বলেন, 'এখন তোমার লক্ষ্য হওয়া উচিত কেবল ফুটবল, নিজের ব্যক্তিগত চ্যালেঞ্জে মনোযোগ দাও। তুমি যা অর্জন করছো এবং যেসব সীমা ভাঙছো, সেগুলো সামলে নাও। আবেগ যেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে না চলে যায়।'

১৯৮৩ সালের পর এবারই প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলছে অ্যাস্টন ভিলা এবং সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। তবে তাদের সামনে কঠিন প্রতিপক্ষ—পিএসজি, যারা আগের রাউন্ডে লিভারপুলকে হারিয়ে এসেছে এবং সদ্যই লিগ ওয়ানের শিরোপা নিশ্চিত করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Students, teachers declare 'shutdown' at JnU

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

1h ago