আমি ভালো খেলিনি, দলও ভালো খেলেনি: রোনালদো

শক্তি ও সামর্থ্যে পরিষ্কার ফেভারিট পর্তুগাল। কিন্তু তারপরও ডেনমার্কের বিপক্ষে প্রথম লেগে তেমন একটা সুবিধা কর উঠতে পারেনি দলটি। ডেনিশদের মুহুর্মুহু আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে হারে ০-১ ব্যবধানে। তবে এই হারে নিজের সহ পুরো দলের দায় দেখছেন অধিনায়ক ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো।

সেই ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী ফলাফল পছন্দ হওয়ারই কথা রোনালদোদের। কারণ ডেনিশ ফরোয়ার্ডরা সহজ সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধানটা হতে পারতো আরও বড়। ক্রিস্তিয়ান এরিকসন তো মিস করেছেন পেনাল্টিও। তাই দ্বিতীয় লেগে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগটা থাকছে পর্তুগালের সামনে। তবে চাপের কথা অস্বীকার করেননি অধিনায়ক।

তবে চাপের মধ্যেও রোনালদো স্পষ্ট করে জানিয়েছেন যে দল সম্পূর্ণ শান্ত রয়েছে এবং সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্যে মনোযোগী, 'আমরা জীবন-মরণের পরিস্থিতিতে নেই, তবে এটা নিঃসন্দেহে একটি কঠিন মুহূর্ত। আমরা জানি, আগামীকাল আমাদের জিততেই হবে। তবে এটাই ফুটবলের সৌন্দর্য—চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করা। মাঠে আমরা সর্বোচ্চটা উজাড় করে দেব জয় পাওয়ার জন্য।'

গ্রুপ পর্বে সর্বোচ্চ পাঁচ গোল করা এই ফরোয়ার্ড জোসে আলভালাদে স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচ নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে প্রথম লেগে কোপেনহেগেনে দল প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে পারেনি, তবে এবার ভুলগুলো সংশোধন করে ম্যাচের মোড় ঘোরানোর ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী।

'আমি ৯০ মিনিটে ম্যাচ হেরেছি, কিন্তু কখনোই প্রথমার্ধে হারিনি। আগামীকাল আমরা এই টাইয়ের দ্বিতীয়ার্ধ খেলব। খারাপ দিন আসতেই পারে—আমি ভালো খেলিনি, দলও ভালো খেলেনি—তবে এটাই ফুটবল,' রোনালদো স্পষ্ট করে দেন যে প্রথম লেগের পরাজয় সিরিজের ভাগ্য নির্ধারণ করেনি।

পর্তুগাল অধিনায়ক মানসিক স্থিরতা বজায় রাখার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, 'এটি ঘাবড়ে যাওয়ার সময় নয়, বরং ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া, ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামার সময়।'

নিজের শারীরিক সক্ষমতা ও ম্যাচে খেলার বিষয়ে রোনালদো দৃঢ়ভাবে বলেন, 'আমি সবসময় খেলার জন্য প্রস্তুত। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, পর্তুগাল যেন জেতে—আমি মাঠে থাকি বা না থাকি। আমি জানি কিভাবে শারীরিক ও মানসিকভাবে পুনরুদ্ধার করতে হয়, এবং আমি দলের জন্য প্রস্তুত থাকব।'

Comments

The Daily Star  | English

The silent emergency: Politicisation of our healthcare sector

The erosion of trust in doctors is creating crisis for the healthcare sector.

9h ago