‘আমাদের নেতাদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, নির্বাচন করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে’

ফখরুল
বক্তব্য রাখছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর | ছবি: টেলিভিশন থেকে নেওয়া

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, বিএনপি এবং দলটির অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং নির্বাচন করতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে অভিযোগ তুলে ফখরুল বলেন, 'একটি অত্যন্ত পরিকল্পিত চক্রান্ত শুরু হয়েছে।'

তিনি বলেন, '২০১৮-এর নির্বাচনের আগে যে ঘটনাগুলো শুরু হয়েছিল যে গায়েবি মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করে ঢুকিয়ে দেওয়া, সেই কাজগুলো শুরু হয়েছে। আমাদের যুবদলের সেক্রেটারি মোনায়েম মুন্না তাকেও আটক করে রাখা হয়েছে। তাকেও একইভাবে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। উদ্দেশ্য একটাই, এদেরকে আটকে রাখো, এরা অ্যাক্টিভিস্ট, এরা যেহেতু সক্রিয় থাকে।'

ফখরুল বলেন, 'আমাদের যারা রাজনীতিতে সক্রিয় এবং নির্বাচন করেছে বা করবে—এই ধরনের নেতাদের গোয়েন্দা বাহিনী তুলে নিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে বলা হচ্ছে, তোমরা নির্বাচন করবে। যদি বিএনপি নির্বাচন না করে তাও। আমাদের অনেক নেতা, যারা এই অভিযোগ করেছে।'

তিনি বলেন, 'আমরা কোন দেশে বাস করছি! আমরা আগে থেকেই বলছি, এটা একটা মধ্য যুগীয় বর্বর যুগে আমরা বাস করছি। এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য হেন কোনো অন্যায় নেই যা তারা করছে না। কী রকম মরিয়া হয়ে গেছে যে, দেশের ক্ষতি করতেও তারা দ্বিধা করছে না। তারা জানে, এই দেশের যে অবস্থান, আজকে অন্যান্য দেশগুলো সম্পর্কে তারা যে মন্তব্য করছে এতে ভূ-রাজনীতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারি এবং আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি ইতোমধ্যে।'

বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'একটি সমস্যার তৈরি হয়েছে যে, তারা বুঝতে পেরেছেন এবং আগে থেকেই বুঝতে পেরেছেন তাদের জনগণ আর গ্রহণ করবেন না। তাই কোনোভাবেই তারা একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের কথা শুনছেন না। একবারে ওদিকে যাচ্ছেনই না।'

এর আগে আটক নেতাদের তালিকা তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব। এ সময় তিনি আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন। সেই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

Comments

The Daily Star  | English
Gunfight

Local BNP leader shot dead in Dhaka’s Badda

When Kamrul was sitting on a chair on the roadside and talking with 2-3 people, two assailants on foot came from behind and shot him before fleeing the scene

2h ago