লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম

কুয়াশা আর ঠান্ডায় অস্থির জনজীবন

মঙ্গলবার সকালে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাকোয়া এলাকা থেকে তোলা ছবি। ছবি: এস দিলীপ রায়/ স্টার

উত্তরের জেলা লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে গেল কয়েকদিন ঠান্ডা আর কুয়াশা কিছুটা কম থাকলেও আজ মঙ্গলবার সকালে কুয়াশা আর ঠান্ডায় অস্থির হয়ে ওঠে জনজীবন। সকাল সাড়ে ১০টা পযর্ন্ত চারদিক ঢেকে থাকে ঘন কুয়াশায়। ঠান্ডা আর কুয়াশা উপেক্ষা করেই মানুষজন বাড়ির বাইরে বেড়িয়েছেন কাজের জন্য। তবে তাদেরকে পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।

লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাকোয়া গ্রামের কৃষক নুর জামাল (৫৫) দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ইরি-বোরো চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করেছেন। এজন্য কুয়াশা আর ঠান্ডা উপেক্ষা করে বীজতলা থেকে চারা তুলছেন। শরীরে গরম কাপড় জড়িয়ে খেতের মধ্যে বেশিক্ষণ টিকতে পারছেন না। গেল কয়েকদিন আবহাওয়া ভালোই ছিল। হঠাৎ আজ সকালে চারদিক ঘনকুয়াশায় ঢেকে যায়।

শীত ও কুয়াশায় খেতে কাজ করছেন কৃষক। লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সাকোয়া এলাকা থেকে তোলা ছবি। ছবি: এস দিলীপ রায়/ স্টার

একই গ্রামের দিনমজুর নজরুল ইলাম (৫০) বলেন, হঠাৎ ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা পড়ায় তারা অস্থির হয়ে পড়েছেন। ঘরের বাইরে যাওয়ার মতো অবস্থা নেই। কিন্তু কাজের খোঁজে বাধ্য হয়েই বাড়ির বাইরে বেড়িয়েছেন।

কুড়িগ্রাম শহরের ট্রাকচালক নুর আমিন (৪৫)  বলেন, দিনের বেলাতেও তাকে হেডলাইট জ্বালিয়ে ট্রাক চালাতে হচ্ছে। কুয়াশার কারণে ঠিকঠাক দেখা যায় না।

রংপুর আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় লালমনিরহাটে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আর কুড়িগ্রামে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল থেকে চারদিক কুয়াচ্ছন্ন হওয়ায় যানবাহন ও পথচারীদের চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, জমিতে ইরি-বোরো চাষ শুরু হয়েছে। কৃষকদের বীজতলা থেকে চারা সংগ্রহ তা জমিতে রোপন করতে হচ্ছে। হঠাৎ কুয়াশা আর ঠান্ডা বেড়ে যাওয়ায় কৃষিকাজে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে। তবে আবহাওয়া পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতি হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

5h ago